Saturday, November 12, 2016

কাবাঘর, কাবা শরীফ বা ‘‘হাজরে আসওয়াদ ” ইতিহাস।


#শিব লিঙ্গ পূজা নিয়ে অপ্রচারের জবাব, ইদানিং মুসলিম ভাইয়েরা হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ্য করতে সরাসরি এবং বিভিন্য  ফেসবুকের পেজগুলাতে হিন্দুরা শিব এর যৌন অংঙ্গের পুজা করে এই ধরনের কমেন্ট করে থাকেন। ধার্মিক মুসলিম ভাইয়েরা তাদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেই ভাল জ্ঞান রাখেন না, তাদের মুখে কি হিন্দু ধর্মের সমালোচনা মানায় ? হিন্দুদের প্রধান ধর্মিয় বই গুলা সবই সংস্কৃত ভাষায় রচনা করা, কাজেই সংস্কৃত শব্দ শিব লিংঙ্গের সঠিক অর্থ না জেনে কোন মন্তব্য করা ঠিক নয়। যেহেতু লিংঙ্গ শব্দটা
ছবিঃশিব লিংঙ্গের সাথে শিবের মিল 
সংস্কৃত ভাষা সেহেতু তার বাংলা অর্থ ভিন্য হবে এটাই সাভাবিক। সংস্কৃত শব্দ (লিংঙ্গ) এর বাংলা অর্থ (চিন্হ) বা প্রতিক, কোন ভাবেই এটা যৌন অংঙ্গ নয়।শিব এবং শিব লিংঙ্গ সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত বর্ননা আছে পরে দেখতে পারেন। আরো একটু বুঝিয়ে বলা যেতে পারে, যেমন বাংলাদেশের পতাকাকে সন্মান করলে দেশকে সন্মান করা হয়।কারন এই একটি পতাকাই পুরো দেশের প্রতিক বোঝায়। তেমনি শিবের প্রতিক (লিংঙ্গ) পুজা করলে সয়ং শিবের পুজা করা হয়।এটা মুসলমান ভাইদের মগজে ঠুকে না অথচ সৌদি আরবের মক্কায় ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে সয়তানের প্রতিক
ছবিঃ হাজিরা সয়তানের পুজা করছেন
বা সয়তানের চিন্হ বানিয়ে দ্বার করে রেখেছে, তাতে পাথর মারলে সয়তানেরই সরিরে লাগে এমনটা বিশ্বাস করবে, কিন্তু হিন্দুরা শিব লিংঙ্গের (শিবের প্রতিক)পুজা করলে শিবের পুজা হয়, সেটা বিশ্বাস করবে না। মুসলিমভাইয়েরা শিব লিংঙ্গ অর্থাৎ শিবের চিন্হ বা প্রতিক ভাল করে দেখুন এটা কোন ভাবেই যৌন অংঙ্গ নয় বরং সয়ং শিবেরই চিন্হ বহন করছে। অন্যদিকে মুসলমানরা হ্বজে গিয়ে যে কালো পাথরে চুমা দেয় এবং পাথরের চারদিকে সাত পাক ঘুরে তাকে আরবিতে ‘‘হাজরে আসওয়াদ ” বলে যার বাংলা অর্থ কালো পাথর । কোরান হাদিস থেকে জানা যায় প্রাক ইসলামী যুগে আরবের মানুষ মূলত: পৌত্তলিক ছিল। তাদের ছিল নানা রকম দেব দেবী। ইসলামের মূল উপাসনালয় কাবা ঘরের মধ্যে ছিল ৩৬০ টা মূর্তি। এদের মধ্যে প্রধান দেবী ছিল তিনটা – লাত, উজ্জা আর মানাত। এদের নাম কোরানে উল্লেখ আছে। যেমন -তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে। সূরা আন নাজম- ৫৩:১৯। এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? সূরা আন নাজম-৫৩:২০। তার মানে হচ্ছে মোহাম্মদের সময় অন্তত: এই তিনজন শক্তিশালী দেবী ছিল যাদের মূর্তি ছিল কাবা ঘরের মধ্যে । মোহাম্মদের পুর্ব পুরূষ পৌত্তলিকরা এইসব দেব দেবীর পুজা করত। আর কালো পাথরে  চুমু খেত, কারন কালো পাথরটি ঐ দেব দেবীরই একটা অংশ বা প্রতিক ছিল, যেমন শিবের প্রতিক হিসেবে আছে কালো পাথর বা শিব লিংঙ্গ । কালো পাথরটিকে নিকট থেকে পর্যবেক্ষন করলে একে দেখায় প্রসবকালীন স্ত্রীযৌন অংঙ্গের মতো।যার ভিতরে বাচ্চার মাথা দেখা যাচ্ছে।

ছবিঃ হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর)
মাথায় চুমু খেয়ে মাফ চাওয়া আরবদের এক প্রাচীন প্রথা। আরব পৌত্তলিকরা নবজাতক শিশুর মতো সকল পাপ মুক্ত হওয়ার জন্য এই কালো পাথরের নবজাতক শিশুর মাথায় চুমু খেত।এবং কালো পাথরের চারিদিকে ৭ পাক ঘুরতো। মোহাম্মদ এবং মদিনার মুসলিম বাহিনী ৮ম হিজরী সালের ১০ রমযান তারিখে মদীনা থেকে মক্কা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে মক্কা দখল করেন এবং পৌত্তলিকদের মন্দিরে(বর্তমান কাবায়) থাকা সব মুর্তি ও ছবি ফেলে দেন, কিন্তু কথিত পাপ শুষে নেওয়ার পাথরটি রেখে দেন। সেই পাথরটিই বর্তমানে হ্বজে গিয়ে হাজিরা পৌত্তলিকদের মত একই কায়দায় প্রসবকালীন স্ত্রীযৌন অংঙ্গের মত দেখতে কালো পাথরের মুখে বাচ্চার মাথায় চুমু খান এবং ৭ পাক ঘুরেন নিষ্পাপ হওয়ার জন্য। আর মুসলমানরা মক্কায় গিয়ে যে শুধু লিংঙ্গ চুমা খায় তা নয়, এরা লিংঙ্গ ধোয়, (নারী এশিয়ার কিছু দেশে) পুরুষ (সব দেশে) উভয়ে লিংঙ্গ কেঁটে (খৎনা) উৎসব করে মুসলমানি করে ,গ্রামের লোক দাওয়াত করে, তাহলে বুঝুন মুসলমানের লিংঙ্গ কত বর পুজনিয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে মুসলমানরা কাবা ঘরের কালা অংঙ্গে চুমা তো খাচ্ছেই  এবং সাথে অরজিনাল লিংঙ্গের (খৎনা) পুজা থুক্কু সুন্নত পালন করছে। তাহলে মুসলমানভাইয়েরা আপনারাই বিচার করে দেখুন কারা লিংঙ্গ পুজা করছে? এখানে অশ্লিল ভাবে মুসলমানদের এসব কথা আমরা কখোনই বলতাম না,যদি না মুসলমানরা শিব লিংঙ্গ নিয়ে খারাপ মন্তব্য না করত। আর এসব মন্তব্য তারাই করছেন যারা শিব লিংঙ্গ এবং এর অর্থ সম্পর্কে জানেন না । মুসলমানরা যে কি পরিমান খারাপ তা প্রমান করতে কিছু স্ক্রিনসট দেওয়া হল।

এরকম আরো দেখুন  Screenshot ১  Screenshot ২  Screenshot ৩  Screenshot ৪। মুসলমান ভাইয়েরা দেখুন আপনাদের ফেসবুকে কেমন স্বাধিনতা । হিন্দু ধর্মের কটুক্তি করলে সরকারও আপনাদের দেখে না, এর জবাবে হিন্দুরাও কিন্তু নবী মোহাম্মদ এবং ইসলাম নিয়ে মন্তব্য করতে পারে, আর যা বলবে কোরান হাদিসের রেফারেন্স সহ, তার পরেও বলবেন কটুক্তি করেছে, তখন সরকারও দেখে, হেফাজত ও দেখে  চাপাতি দিয়ে কোপ  ও মারতে আসেন ,মামলা করেন, মন্দির ভাঙ্গেন, এটাই দুর্বল ধর্মের বৈশিষ্ঠ। কিন্তু আপনাদের আমরা কোপাতে যাবো না যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেব, এটাই মহৎ ধর্মের বৈশিষ্ঠ । সব শেষে মুসলমান ভাইদের বলব ব্যাবহারেই ধর্মের পরিচয় ।
sothikdhormo.blogspot.com

No comments:

Post a Comment

যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে