Thursday, March 30, 2017

আসছে বৈশাখী মেলায় চলছে হিন্দু এবং সকল বাঙ্গালী শিল্পীদের প্রস্তুতি




আর কয়েকদিন পরেই বাঙালির প্রাণের উত্সব নববর্ষ। নববর্ষকে বরণ করতে চলছে বিভিন্ন প্রস্তুতি। জাতীয় জীবনের এই দিনটিকে বরণ করতে আগ্রহের কোনো কমতি নেই দেশের গ্রামীণ জনপদেও। চৈত্র সংক্রান্তি থেকে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে বিভিন্ন স্থানে চলবে বৈশাখী মেলা। আর এ মেলাকে সামনে রেখেই আগৈলঝাড়া উপজেলার পালপাড়ার মৃিশল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বৈশাখী মেলার অন্যতম আকর্ষণ মাটির তৈরি খেলনাসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র। বৈশাখী মেলায় মাটির খেলনা ও তৈজসপত্র বিক্রির প্রস্তুতি নিতে চৈত্র মাসের শুরু থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার একমাত্র গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের পাল পাড়ার মৃিশল্পীরা। স্বামীর কাজে সহযোগিতা করতে ঘরে বসে নেই ওই পল্লীর রমণীরা। অবসরে বৈশাখী মেলার খেলনা তৈরির মাধ্যমে হাতেখড়ি দিচ্ছে পাল পাড়ার ভবিষ্যত্ প্রজন্মের শিশুরাও।

উত্তর শিহিপাশা গ্রামের পাল পাড়ার প্রবীণ মৃিশল্পী তরণী কান্ত পাল, জয়দেব পাল, মহাদেব পাল ও রানী পাল জানান, তারা প্রত্যেকেই মেলার জন্য মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরি করছেন।

মাটির তৈরি এই সকল খেলনা ও তৈজসপত্র রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে তাতে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের রঙ। মেলার সময় ছাড়াও সারা বছরই তারা মাটির জিনিস তৈরি করেন। কুমার পাড়ার এই শিল্পীরা আরও বলেন, তাদের পূর্ব পুরুষ এ পেশার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন, তাই তারাও সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এখনও পেশাকে আঁকড়ে রেখেছেন।

তবে প্রজন্মের সন্তানরা এখন তাদের পূর্বপুরুষের পেশায় আসতে চাইছে না। কারণ আগের মতো এখন আর তৈজসপত্রের একচেটিয়া ব্যবসা নেই।

বর্তমান বাজারে সিরামিক, প্লাস্টিক ও ধাতব তৈজসপত্রের সহজপ্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতার জন্য তাদের মৃিশল্পের ব্যবসায় অনেকটাই ধস নেমেছে। যখন কোনো মেলা বসে তখন তারা মেলার জন্য খেলনা তৈরি করেন। এটা তাদের পরিবারের জন্য মৌসুমের একটা বাড়তি আয়।

 sothikdhormo.blogspot.com

No comments:

Post a Comment

যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে