Sunday, October 30, 2016

বাইবেলে মহম্মদের নাম নিয়ে মিথ্যাচার।


 

বাইবেলে কি মহম্মদের নাম আছে ?
উত্তরঃ অনেকেই ভাবছেন আমি হিন্দু হয়ে বাইবেলের কথা কেনও বলছি ? দাদারা আসলে আমি এই পেজটি জাকিরের ভণ্ডামি প্রকাশ করার জন্য খুলেছি। তাই এতে জেনও খ্রিস্টান ভাইয়েরাও উপকার পায় তাই তাদের নিয়েও লেখা। আসলে বাইবেল, তাওরাদ, যুবুর এবং কোরআন যেই কিতাবি বলুন এগুলো সবই একটা থেকে আর একটা কপি মারা। আর একজন আর একজনের সাহায্যতে চলছে এখনো। এদের মধ্যে মিল আছে হ্যা কারন এরা একজনের থেকে আর একজনকে কপি মেরেছে তাই তাদের মিল। কিন্তু অমিলো কম নেই। ওল্ড টেস্টামেন্টে শুয়ারের মাংস খাওয়া হালাল কিন্তু কোরআনে তা হারাম। ওল্ড টেস্টামেন্টে ঈশ্বর পাদ দেয় এটা পর্যন্ত এসেছে কোরআন কি তা মানবে ? যিশু ঈশ্বরের পুত্র এবং ঈশ্বরের কথা যে অনুসরণ করে তাকে যিশু ঈশ্বরের পুত্র বলেছে। কিন্তু কোরআন ঈশ্বরের কাওকে পুত্র মানে না এমন কি তাদের নবী যিশুকেও না। কোরআনের এক জায়গা থেকে তারা দেখাতে পারবে না যে যিশুকে আল্লাহ্‌ তার পুত্র বলেছে। যাই হক নিচের রেফারেন্স গুলো দিয়ে জাকির চাচা শুধু বলে বাইবেলেও মহম্মদের নাম আছে। যা মহম্মদ নিজেও বেড় করতে পারেনি এখন তা জাকির চাচা করে দেখাচ্ছে। কিন্তু এখানে এক জায়গায়ও স্পষ্ট করে মহম্মদের নাম এসেছে কিনা আপনারাই দেখে মতামত দিন। নিচে দিলাম যা সে তোতা পাখির মত রেফারেন্স দেয় মানুষকে,
“আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব। এই ভাববাদী তাদের লোকদের মধ্যেই একজন হবে। সে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেব। আমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে।এই ভাববাদী আমার জন্যই বলবে এবং যখন সে কথা বলবে, যদি কোন ব্যক্তি আমার আদেশ না শোনে তাহলে আমি সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেব”।
(Deuteronomy অধ্যায় ১৮ শ্লোক ১৮-১৯)
অথবা তুমি কাউকে বইটি দিতে পার, যে পড়তে পারে না। সেই লোকটিকে পড়তে বললে সে বলবে, “আমি এই বই পড়তে পারব না। কারণ কি ভাবে বইটি পড়তে হয় তা আমার জানা নেই।
(Isaiah অধ্যায় ২৯ শ্লোক ১২)
জেরুশালেমের যুবতী রমণীরা, তার মুখই মিষ্টস্বাদস্বরূপ। সে সবকিছু নিয়েই মনোরম। এই আমার প্রেমিক। এই আমার প্রিয়। ( Song Of Solomon অধ্যায় ৫ শ্লোক ১৬)
আমি পিতার কাছে চাইব, আর তিনি তোমাদের জন্য আর একজন সাহায্যকারী দিবেন। যে চিরকাল তোমাদের জন্য হবেন। New Testament ( John অধ্যায় ১৪ শ্লোক ১৬)
কিন্তু সেই সাহায্যকারী পবিত্র আত্মা, যাকে পিতা আমার নামে পাঠিয়ে দিবেন। তিনি তোমাদের সব কিছু শিক্ষা দেবেন, আর আমি তোমাদের যা যা বলেছি, সে সকল বিষয় তিনি তোমাদের সরন করিয়ে দেবেন। New Testament ( John অধ্যায় ১৪ শ্লোক ২৭)
কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভালো; কারন আমি যদি যাই তাহলে সেই সাহায্যকারী তোমাদের কাছে আসতে পারবে না।
New Testament ( John অধ্যায় ১৬ শ্লোক ৭)
তোমাদের বলার মতো আমার এখনো অনেক কথা আছে; কিন্তু সেগুলো তোমাদের গ্রহন করার পক্ষে এখন অতিরিক্ত হয়ে যাবে সত্যর আত্মা যখন আসবে। তখন তিনি সকল সত্যর মধ্যে তোমাদের পরিচালনা করবেন। তিনি নিজে থেকে কিছু বলবে না; কিন্তু তিনি যা শুনবেন তাই বলবেন। আর আগামি দিনে কি ঘটতে চলেছে তা তিনি তোমাদের কাছে বলবেন। তিনি আমাকে সম্মানিত করবেন, কারন আমি যা বলি তাই তিনি গ্রহন করবেন। এবং তোমাদের তা বলবেন।
New Testament ( John অধ্যায় ১৬ শ্লোক ১২-১৪ )
উপরের শ্লোকে বলা আছে কেও একজন আসবে। কোথাও বলা নেই যে মহম্মদ নামে একজন নবী আসবে। হ্যা (Isaiah অধ্যায় ২৯ শ্লোক ১২) এসেছে তাকে বলা হবে পড় এবং সে বলে আমি পড়তে জানি না। এইটুক শুনে তারা দাবি করছে মহম্মদই তো একজন উম্মি ছিলও মানে মূর্খ ছিলও। যে পড়া লেখা জানতো না। আর তাকে যখন জিব্রাইল নামক ফেরেস্তা প্রথম এসে মহম্মদকে পড়তে বললও মহম্মদ বললও আমিতো পড়তে জানি না। তাই এতে তারা বাইবেলে মহম্মদের দাবি করছে। কিন্তু Isaiah অধ্যায় ২৯ শ্লোক ১০ থেকে ১৪ পড়লেই আমরা জানতে পারবো সেখানে কি বলছে, আসলে সেখানে যিশু তার ইসরাইলের শীর্ষদের বাইবেল সম্পর্কে বলছে যে যদি তার এই বই কোনও শিক্ষিত মানুষের কাছে দেয় তারা তা নিয়ে মজা করবে বলবে, আমি পড়তে পারব না। কারণ বইটি বন্ধ এবং তা আমি খুলতে পারব না। আর যে মূর্খ মানুষ সেই লোকটিকে পড়তে বললে সে বলবে, “আমি এই বই পড়তে পারব না। কারণ কি ভাবে বইটি পড়তে হয় তা আমার জানা নেই। তো এখানে মহম্মদের কথা কোথা থেকে এলো ভাই ?
সেখানে সেই ইসরাইল বাসীদের কথাই বলা হচ্ছিলো আর জাকির চাচা এখানে মহম্মদকে পেয়েছে। বাইবেল কোরআনে এ ছাড়াও অনেক অমিল আছে। একটা সাইটে দেখলাম কোরআন আর বাইবেলে ১০০০ হাজারেরও বেশি অমিলে আছে নেটে সার্চ দিলেই আপনারা পাবেন। তবু দুটা বই আল্লাহ্‌র দান। হায়রে মানুষ মিথ্যাচারেরও একটা লিমিট থাকে। এরা সেই লিমিটও পার করে ফেলবে।
sothikdhormo.blogspot.com

No comments:

Post a Comment

যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে