তনু হত্যার পর এবার খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা। ইসলামের মতে হিজাব, বোরখা পরলেই নাকি পুরুষদের খারাপ দৃষ্টি থেকে বাচা যায়। তাহলে ঐ ইসলামিক হিজাব বোরখা তনুকে খাদিজার মত মেয়েকে এমন লম্পটদের হাত থেকে কেনও বাচাতে পারলো না। তাদের হিজাবে, বোরখায় এমন কি কম ছিলও। যেই কারনে তাদের আজ এই পরিনতি হলও। কুমিল্লা সেনানিবাসে নিজের পরিবারের সাথে বাস করত সোহাগী জাহান তনু। ২০ মার্চ রাতে সেনানিবাসের ভেতরে পাওয়া যায় তার লাশ। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা সেনানিবাসে বোর্ডের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত।
সোহাগী হত্যার মামলা প্রথমে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। তারপর তা র্যািবের নিকট হস্তান্তর হয়। আবার পরদিন সেই মামলা সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়। মৃত্যুর পর সোহাগীর লাশ ময়না তদন্তের পর মাটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সিআইডির তত্ত্বাবধানে লাশ আবার মাটি খনন করে তুলে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়। তারপর আর বিভিন্ন ধরণের খবর পাওয়া যায়।
তবে
সে সকল রহস্য বারবার ঘুরেফিরে সামনে আসছে তা লক্ষ্য করলে ফলাফল এখনও শূন্যের কৌটায়
দেখা যায়। আবার খাদিজা বেগম নার্গিস
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী।
গত সোমবার বিকেলে সিলেট এমসি কলেজে কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরোনোর সময়
কলেজের পুকুর পাড়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক
বদরুল আলম (২৭) তাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে মূমূর্ষ অবস্থায়
খাদিজাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দ্রুত তার
অস্ত্রোপচার করেন। রাতে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য
পাঠানো হয়।
এভাবেই কি বোরখা, হিজাব পরলে মেয়েরা ধর্ষণ থেকে বাচবে ? নাকি দুদিন পরে
হুজুররা বলবে মেয়েদের বের হওয়াই উচিৎ না। হ্যাঁ বলতেও পারে ইসলামে তো মেয়েদের
ক্ষেত হিসাবে ব্যাবহার করতে বলেছে। তাদের মূল্যই বা ইসলামের কাছে কতটুকু ?
No comments:
Post a Comment
যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে