
#প্রশ্নটি করলে আমরা অনেকেই উত্তর দিতে পারি না।
##উত্তরঃ প্রতিমা পূজা হলো প্রতিকের মাধ্যমে বিশেষভাবে প্রার্থনা করা। আমরা যা করি তা অনেকটাই প্রতিকের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। প্রতিক/মাধ্যম ভিন্ন কোন ভাবের আদান প্রদান করা যায় না। যেমন- মাতৃ ভাষা দিবসের প্রতিক মা, ভাষা শহীদের প্রতিক শহীদ মিনার, জ্ঞানের প্রতিক অক্ষর, প্রার্থনার প্রতিক মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, মসজিদ/কাবা/কৃষ্ণ পাথর; যাকে সাত পাক দিয়ে চুমু খেতে হয়। এই শ্রদ্ধাটাই হল পূজা। এগুলোর মধ্যে সৃষ্টি কর্তার যেই অলৌকিক শক্তি ও সম্পর্ক আছে মানুষ তাকেই শ্রদ্ধা জানায় বা আহবান করে। মানুষের বিশেষ ভাবে শ্রদ্ধার সাথে সৃষ্টিকর্তার সেই শক্তির আহবান করাকেই পূজা বলে। যেমনঃ নির্বাচনে আমরা যে কোন একটি প্রতীককেই ভোট দেই যার মাধ্যমে সে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে বিজয়ী হয় এবং দলের প্রধান তার মাধ্যমেই দলের প্রধানমন্ত্রীর পদে জয় লাভ করে। এখানে যেমন প্রতিক অন্য কোথাও ভোট দেওয়া হয় না তেমনি আমরা কোন ছবি, কাগজ বা প্রতিকের পূজা করি না, পূজা ( অর্থ- বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানান ) করি তার গুন ও আদর্শকে।
স্বামী বিবেকানন্দ তাই মূর্তি পূজা সম্পর্কে বলেছেন- কারো পিতার ছবি দেখলে যেমন পিতার কথা মনে পড়ে, তেমনি ভগবানের ছবি দেখলে ভগবানের কথাই মনে পড়ে এবং তখনই মন পবিত্র হয়।
একজন স্বর্ণকারের কাছে একটি স্বর্ণের হাতির যেই মূল্য, স্বর্ণের ঘোড়ারও সেই মূল্য কারন এখানে বস্তু নয় গুনগত মানই শ্রেষ্ঠ। “পুতুল পূজা করে না হিন্দু কাঠ মাটি দিয়ে গড়া মৃন্ময়ী মাঝে চিন্ময়ী হয়ে যাই হেরে আত্মহারা” আমেরিকার বিশ্ব সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ মূর্তি পুজার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন- “Hindus are not idol-worshiper. They are ideal-worshipers” অর্থাৎ হিন্দুরা মূর্তি পূজক নন, তারা আদর্শের পূজারী। মূর্তি হল একটি আদর্শের প্রতিক, সত্যের প্রতিক।##
No comments:
Post a Comment
যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে