##নীচের প্রশ্নগুলো বহু মুসলিম শেয়ার করে থাকেন। কিন্তু হিন্দুরা অজ্ঞানতার করণে চুপ থাকেন।আজ উত্তরগুলো পড়ে নিন। হিন্দু ভাইয়েরা মনখারাপ করবেন না।। আমি শুধু জানতে চাই।।
##প্রশ্ন ১।রিগবেদ অধ্যায়-৩, খন্ড-৩১, শ্লোকা-১-২-‘‘পিতা তার মেয়ের সাথে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত’’।এছাড়া মা- ছেলে দূষ্কর্ম, এমন বিশ্রি বনর্না যেই গ্রন্থে তা কি করে সৃষ্টিকর্তার বানী হতে পারে?
উত্তরঃ ১ম ভুল, রিগবেদ নামে কোন বেদ নাই।যেটা আছে ওইটাকে ঋগবেদ বা ঋগ্বেদ বলে। ২য় ভুল ঋকবেদে অধ্যায় খন্ড দিয়ে কোন মন্ত্র নেই,ঋগবেদে মন্ত্রগুলো সুক্ত ও মন্ডলে বিভক্ত।
প্রশ্ন২।শিব ৬০,০০০বিবাহ করেছিল সে মারা যাবার পর তার লিঙ্গকে পূজা করা হয় একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায় তার স্ত্রীকে দিয়ে দুধ দিয়ে শিবের গোপন অঙ্গ ধৌত করে? এটা কি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য? এমন কুরুচিপূর্ন আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন?
উত্তরঃ শিব ৬০০০০ বিয়ে করেছিলেন এই কথার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিতে পারবেন?? আর সংস্কৃত আর বাংলা এক না।সংস্কৃতে শিবলিঙ্গ অর্থ হল মঙ্গলময় ঈশ্বরের প্রতীক।
প্রশ্ন৩।দেবদাসীর ও যোগিনীর মত পতিতা চরিত্রের সাথে ভগবান ওব্রাহ্মনগন কি করে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত হন? যদি তারা প্রকৃতার্থে ভগবান হয়ে থাকেন।
উত্তরঃ এই কথাটার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ চাই। গীতা,বেদ,ভাগবত বা উপনিষদ কোথা থেকে পেয়েছেন??
প্রশ্ন৪।অশ্লীল ভঙ্গিমায় উলঙ্গ নারী, মুখে ও দাতেঁ রক্ত ও হাতে রক্তাক্ত তলোয়ার কি করে সৃষ্টিকর্তা হতে পারে? উদাহরন- দূর্গা।
উত্তরঃ শ্রী দূর্গা মায়ের মূর্তি একবার গিয়ে দেখে আসবেন। আর মা কালী এমন রুপ ধারণ করেছিলেন অসুরকে দমনের জন্য।অসুররা মায়ের রুপকে ভয় পায় যেমনটা আপনি পেয়েছেন।
প্রশ্ন ৫।কৃষ্ণা যদি সৃষ্টিকর্তা হয় তবে সে কেন তার মামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখলো? তবে কি সৃষ্টিকর্তা মানুষের সাথে এমন অবৈধ কর্মে লিপ্ত হয় যা তার নিজেরাই আইনের বর্হিভূত?
উত্তরঃ কৃষ্ণ ও মামির সম্পর্ক এই কাহিনীর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিতে পারবেন?? ভাগবত,গীতা থেকে?
প্রশ্ন৬।কিভাবে রাম সৃষ্টিকর্তা হতে পারে কারন সে প্রয়োজনে খাবার খেয়েছে, ঘুম গেছে, অনেক বিয়ে করেছে দৈহিকতারনায়, রাম নিজের স্ত্রীকে সন্দেহ করেছে এসবকি সৃষ্টিকতার কর্ম?
উত্তরঃ শ্রী রাম মানব রুপে জন্মেছেন তাই মানবীয় গুনাবলি পালন করতেন। আররাম বহুবিবাহ করেননি।
প্রশ্ন৭।যদি রাম সৃষ্টিকর্তাই হন কেন তিনি হনুমানের সাহায্য চাইবেন? তাহলে কি সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কমতি আছে?
উত্তরঃ রাম মানবরুপে জন্মেছেন।তাই মানবীয় গুনাবলি মেনেছেন। আর আল্লাহও কিন্তু জিবরাইলের সাহায্যে নবীর কাছে আয়াত পাঠিয়েছেন।যদিও শয়তান মাঝে মাঝে ডিস্টার্ব করত।
৮।প্রশ্নঃ রাম হনুমানের দু’ভাইকে কেন অকারনে খুন করলেন যেখানে রামের সাথে তাদের কোন শত্রুতা ছিলনা? সৃষ্টিকর্তা হয়ে অপরাধ করা কি সম্ভব?
উত্তরঃ রাম হনুমানের ভাইকে হত্যা করেননি। হত্যা করেছেন সুগ্রীবের ভাই বালিকে।কারণ বালি সুগ্রীরের স্ত্রীকে বন্ধি রেখেছিলো।
প্রশ্ন৯।রাবন যদি শয়তান হয়ে একদিনে লঙ্কায় পৌছাঁতে পারে তবে রামের সৃষ্টিকর্তা হয়ে কেন ১২ বছর লাগলো তাও আবার হনুমানের সাহায্যে? শয়তানের শক্তি সৃষ্টির্কতা হতে কি করে বেশি হওয়া সম্ভব? উত্তরঃ রামকে লঙ্কা যেতে ১২ বছর লাগেনি।রাম ১৪ বছরের জন্য বসবাসে গিয়েছিলেন।শেষবর্ষে সীতা মাতার অপহরণ হয় ও শ্রী রাম মাকে উদ্ধার করেন। দূর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে বিজয়াতে রাম জয় লাভ করেন।
প্রশ্ন১০। কৃষ্ণ একজন সৃষ্টিকর্তা হয়ে কিভাবে নারীদের স্নানরত দৃশ্য উপভোগ করেন ও তাদের পোষাক লুকিয়ে রেখে দেন?
উত্তরঃ আপনার কথার উৎস কি ?মহাভারত নাকি ভাগবত ??দুই কবির,শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন আর মেঘনাদ বধ কাব্য(যেগুলোতে অনেক কাহিনী বিকৃত করে দেয়া)!! তা আপনি হাজার বছর আগের আসল বই মহাভারত,ভাগবত না পড়ে আপনি কয়েকটা বিকৃত বই পড়ে এই মন্তব্য করাটা কতটা যৌক্তিক?? শ্রীকৃষ্ণ তখন ১০বছরের কম বয়সের ।তখনকার সময় কিছু লোক সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করত!যেটা পাপ। তাই শ্রীকৃষ্ণ তখন ওই মেয়েদের কাপড় চুরি করেন। পরবর্তীতে ওই মেয়েদের প্রতিজ্ঞা করান,যে তারা যেন আর সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান না করে,এটা পাপ। তাছাড়া শ্রীকৃষ্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করায় দুই গাছরূপী (নন্দরাজের বাড়িতে)পাপী পুরুষকে তাদের শাস্তি ভোগার পর মুক্তি দেন।এ নিয়ে কাহিনী হলঃদুই পুরুষ একবার সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করে তখন ওই দিক দিয়ে দেবর্ষি নারদ যান।তখন দেবর্ষি নারদ সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নানের কারণে ওই পুরুষদেরকে গাছ হওয়ার অভিশাপ দেন।পরবর্তীতে ওই দুই পুরুষ গাছ হয়ে নন্দরাজের বাড়ির উঠানে জন্মেছিল এবং বহুকাল শাস্তি ভোগার পর শ্রীকৃষ্ণ তাদের মুক্তি দেন। এছাড়াও মহাভারতে দূর্যোধনকে মায়ের সামনে নগ্ন হয়ে যেতে নিষেধ করেন
প্রশ্ন১১ গরু হিন্দুদের মা,গরুর পেট থেকে তো গরুর বাচ্চা হয় মানুষের বাচ্চা তো হয়না তাহলে গরুকি করে মানুষের মা হয়?
উত্তরঃ গরু হিন্দুদের মা এটা কোন গ্রন্থে বলা আছে? বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ চাই। নাই কোন গ্রন্থে
প্রশ্ন১২ গরু তাদের মা, তাই তারা দুধ খায়, গোশত খায়না। অথচ ঐ মায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে তা পায়ে দেয়। কেনো মায়ের এই অমর্যাদা?
উত্তরঃ উপরে দ্রষ্টব্য। আর,গোহত্যা ও গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মৃত গরুর চামড়া ব্যবহারে নিষেধ নেই। উদাহরণঃমানুষ হত্যা পাপ। কিন্তু মৃত ব্যাক্তির চোখ দান পাপ না।
প্রশ্ন১৩ গরুর চামড়ার ঢোল না পিটালে তাদের পূজা হয়না, গরুকে হত্মা করে তার চামড়া দিয়ে ঢোল বানাতে হয়। কেনো মায়ের এই পরিনতি?
উত্তরঃ গরুর চামড়া ছাড়া মমহিষের চামড়ায় ও তো ঢোল হয়। আর দূর্গা পূজায় ঢাক বাজানো হয়। , ,
##আশা করি মুসলিমরা তাদের প্রশ্ন গুলোর উত্তর
পেয়ে গেছেন।###
No comments:
Post a Comment
যে কোনও প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কাছে